বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

যশোরে অস্থির চালের বাজার : বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি 

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে অস্থির চালের বাজার : বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি 

সারা দেশের মতো যশোরেও অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম বৃদ্ধির কারণে সপ্তাহখানেক ধরে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে চাল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যেবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের।

সরেজমিনে যশোরের বড়বাজার চালের পাইকারি বাজার ঘুরে জানা গেছে, কাজললতা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৪ টাকা, আগে ছিল ৫২ টাকা, মিনিকেট ৫৬ টাকা, আগে ছিল ৫৪ টাকা, স্বর্ণলতা ৫০ টাকা, আগে ছিল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৬৮ টাকা, আগে ছিল ৬৬ টাকা। প্রতি ২৫ কেজির চালের বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০ টাকা করে। 

বড়বাজারের চাল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের চালের দাম। আমাদের আড়ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে। 

তাপস কুমার কুণ্ডু নামে আরেক চাল ব্যবসায়ী বলেন, আড়তদাররা দাম বাড়িয়ে আমাদের কাছে বিক্রি করেন। এ জন্য আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি। তারা বলছেন, পোকায় ধানক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারণে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এজন্য চালের দামও বেড়েছে।

শহরের বেজপাড়া থেকে বড়বাজারে চাল কিনতে আসেন দিনমজুর ইব্রাহিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘শাকসবজির দাম বাড়লে দুদিন ডাল-ভাত খেয়ে থাকা যায়, কিন্তু চালের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে কোনো এক সময় ভাত না খেয়ে থাকতে হবে।’

শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের এক দোকান থেকে চাল কিনে ফিরছিলেন মনোয়ারা নামে এক পরিচ্ছন্নতকর্মী। তিনি বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেলে আমরা হাড়ে হাড়ে এর যন্ত্রণা টের পাই। তিনি বলেন, ‘অনেকবার পেপারে সাংবাদিকদের লেখালেখি করতে দেখেছি; কিন্তু দিন শেষে কিছুই হয় না।’

এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, পোকার আক্রমণ হলেও ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি, সব ধরনের ধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (শস্য) শমরেন বিশ্বাস  বলেন, এ বছর যশোর জেলায় প্রাপ্ত তথ্যমতে আমন ধানের ফলন হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার ৪০৬ হেক্টর জমিতে। সব মিলিয়ে সব ধরনের ধানের ফলন ভালো হয়েছে।

ধানের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়ে থাকে। এখন আমন ধান উঠছে, হয়তো সামনে ধানের দাম স্থিতিশীল হবে।’

এদিকে এ অঞ্চলের ধান ভাঙিয়ে চাল তৈরি করেন যশোরের চৌগাছার সলুয়া বাজার ও সদরের চুড়ামনকাঠি এলাকার আড়তদাররা। তারা বলছেন, চালের দাম বাড়েনি, পূর্বের দামেই বিক্রি হচ্ছে। 

যশোর চুড়ামনকাঠি এলাকার বৃহৎ আড়তদার কামাল হোসেন বলেন, ইরিধান উঠলে আমরা চাল বিক্রি করেছি বস্তা ১৩৫০ টাকা করে। এখনও একই দামে বিক্রি করছি। তবে মাঝে চার টাকা দাম কমেছিল, সেটি এখন বেড়েছে, এজন্য পাবলিক দাম বেড়েছে বলে দাবি করছে।  

টিএইচ